Difference between revisions of "মুহাম্মাদ (সঃ) হায়াতুন্নবী"
Line 1: | Line 1: | ||
+ | {{মুহাম্মাদ (সঃ) 3|মুহাম্মাদ (সঃ) এর মর্যাদা}} | ||
হায়াতুন্নবী হলো - জিন্দা নবী । হায়াতুন্নবী বলতে শুধু রাসুলুল্লাহ (সঃ)-কেই বুঝায় অথচ সকল নবীই হায়াত-ই-জাবেদানীর অধিকারী । এটা দ্বারা স্পষ্টতই প্রতীয়মান হচ্ছে যে, অপরাপর নবীর হায়াত্-ই-জাবেদানীর তুলনায় তাঁর হায়াত-ই-জাবেদানীর বিশেষত্ব ভিন্ন ধরনের এবং উর্ধে বরং তিনি হলেন সকল হায়াত-ই-জাবেদানীর আদি কারন এবং আম্বিয়া, সিদ্দিকিন, শহীদান ও সালেহানের হায়াত-ই-জাবেদানী হলো তাঁর হায়াত-ই-জাবেদানীর ফল । তারই হায়াত-ই-জাবেদানীর মধ্যে । তিনি না হলে তারা হায়াত-ই-জাবেদানীর অধিকারী হতেন না । তাঁর এক লকব হচ্ছে ‘মুহ-ই’ হায়াত দানকারী । | হায়াতুন্নবী হলো - জিন্দা নবী । হায়াতুন্নবী বলতে শুধু রাসুলুল্লাহ (সঃ)-কেই বুঝায় অথচ সকল নবীই হায়াত-ই-জাবেদানীর অধিকারী । এটা দ্বারা স্পষ্টতই প্রতীয়মান হচ্ছে যে, অপরাপর নবীর হায়াত্-ই-জাবেদানীর তুলনায় তাঁর হায়াত-ই-জাবেদানীর বিশেষত্ব ভিন্ন ধরনের এবং উর্ধে বরং তিনি হলেন সকল হায়াত-ই-জাবেদানীর আদি কারন এবং আম্বিয়া, সিদ্দিকিন, শহীদান ও সালেহানের হায়াত-ই-জাবেদানী হলো তাঁর হায়াত-ই-জাবেদানীর ফল । তারই হায়াত-ই-জাবেদানীর মধ্যে । তিনি না হলে তারা হায়াত-ই-জাবেদানীর অধিকারী হতেন না । তাঁর এক লকব হচ্ছে ‘মুহ-ই’ হায়াত দানকারী । | ||
হায়াতুন্নবী পদ গৃহীত হয়েছে হাদীস হতে । হাদিসটি এইঃ | হায়াতুন্নবী পদ গৃহীত হয়েছে হাদীস হতে । হাদিসটি এইঃ |
Latest revision as of 08:48, 18 August 2014
হায়াতুন্নবী হলো - জিন্দা নবী । হায়াতুন্নবী বলতে শুধু রাসুলুল্লাহ (সঃ)-কেই বুঝায় অথচ সকল নবীই হায়াত-ই-জাবেদানীর অধিকারী । এটা দ্বারা স্পষ্টতই প্রতীয়মান হচ্ছে যে, অপরাপর নবীর হায়াত্-ই-জাবেদানীর তুলনায় তাঁর হায়াত-ই-জাবেদানীর বিশেষত্ব ভিন্ন ধরনের এবং উর্ধে বরং তিনি হলেন সকল হায়াত-ই-জাবেদানীর আদি কারন এবং আম্বিয়া, সিদ্দিকিন, শহীদান ও সালেহানের হায়াত-ই-জাবেদানী হলো তাঁর হায়াত-ই-জাবেদানীর ফল । তারই হায়াত-ই-জাবেদানীর মধ্যে । তিনি না হলে তারা হায়াত-ই-জাবেদানীর অধিকারী হতেন না । তাঁর এক লকব হচ্ছে ‘মুহ-ই’ হায়াত দানকারী । হায়াতুন্নবী পদ গৃহীত হয়েছে হাদীস হতে । হাদিসটি এইঃ
হযরত আবু দারদা (রাঃ) হতে বর্নিত । তিনি বলেছেনঃ রাসুলুল্লাহ (সঃ) বলেছেনঃ তোমরা জুমাবারে আমার উপর অধিক পরিমাণে দরুদ প্রেরণ কর । কেননা জুমাবার উপস্থিতির দিন ; (জুমাবারে অধিক পরিমাণ দরুদ পাঠে) ফেরেশতাগণ হাযির হয়ে থাকে এবং নিশ্চয়ই তোমাদের যে কেউ আমার উপর দরুদ পাঠ করবে তা আমার নিকট পৌঁছে দেওয়া হয়, যতক্ষণ পর্যন্ত না সে (দরুদ পাঠ করা থেকে) বিরত হয় । আবূ দারদা বললেনঃ আমি জিজ্ঞেস করলাম-(আপনার) মৃত্যুর পরেও (কি অনুরূপভাবে দরুদ পেশ করা হবে?) তিনি বললেনঃ নিশ্চয়ই আল্লাহ্ জমিনের জন্য নবীগণের দেহ হারাম করে করেছেন । সুতরাং আল্লাহ্র নবী জীবিত, (তাঁদেরকে) রিজিক দেওয়া হয়ে থাকে ।
— ইবনে মাজাহ
তাঁর বিশেষত্বের কোন পরিধি নেই । তাঁর বিশেষত্ব গুণাবলী দুই শ্রেণীতে বিভক্ত- ছোট ও বড় । এ সম্বন্ধে ইমাম জালালুদ্দিন সুয়ুতী (রঃ) দু’খানা আলাদা কিতাব প্রণয়ন করেছেন- একখানা বড় বিশেষত্ব সম্বন্ধে; নাম হলো ‘খাসায়েসুল কুবরা’; অপরখানা হলো ছোট বিশেষত্ব সম্বন্ধে; নাম হলো ‘খাসায়েসুল সুগরা’ । এখানে হায়াত-ই-জাবেদানীর বিশেষত্ব হিসেবে সামান্য একটু আভাস দেয়া হলো-
- ১) তিনি নূরী বাশার
- ২) আল্লাহ্ ও ফেরেশতাগণের সালাত । আল্লাহ্ জাল্লা-জালালুহু ও তাঁর ফেরেশতাগণ নিত্য তাঁর উপর সালাত বর্ষন করে থাকেন । সালাত শুধু রাসূলুল্লাহ (সঃ) এর জন্য খাস ।
উম্মতের সালাত হাতুন্নবীর উপর হয়ে থাকে, কাজেই আল্লাহ্র সালাতও ঐ ব্যক্তির উপরে হয়ে থাকে যিনি হায়াতুন্নবী ।
- ৩) তিনি নবী-উল-আম্বিয়া অর্থাৎ নবীগণেরও নবী । আল্লাহ্ তায়ালার উক্তি এইঃ
হে নবী ! নিশ্চয়ই আমরা প্রেরণ করলাম তোমাকে সাক্ষী এবং সুসংবাদ প্রদানকারী ও ভয় প্রদর্শকরূপে এবং আল্লাহরই হুকুমে আল্লাহরই প্রতি আহবানকারী ও প্রদীপ্ত চেরাগরূপে ।
— সূরা আহযাব
এই পাঁচটি গুনে তিনি গুণান্বিত ঐ সময় হতে যখন তিনি নবুয়ত গুনে ভূষিত হন আলম-ই-নূরে তখনো আদম (আঃ) সৃষ্টি হন নি । তখনি ছিলেন তিনি শামসুন্নুয়াহ্ ও কুত্ব-ই-জালালাহ্, আফ্তাব-ই নবুওয়াত ও সর্ব মহিমাধর কেন্দ্ররুপে ।[1]
তথ্যসূত্র
- ↑ নূরে মুজাসসাম মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ (সঃ) (লেখকঃ মাওলানা মুহাম্মাদ নুরুল হক, ইসলামিক ফাউন্ডেশন, বাংলাদেশ )