হযরত মোজাদ্দেদে আলফে সানী (রহঃ) - শাদী মুবারক
ইমামে রাব্বানী হযরত মুজাদ্দিদে আলফে সানী (রহ.) দীর্ঘদিন আকবরাবাদে অবস্থান করার পর তাঁর পিতা হযরত আব্দুল আহাদ (র.) তাঁকে সিরহিন্দ শরীফে নিয়ে যান। পথিমধ্যে বাদশাহ আকবরের এক বিশেষ আমাত্য শায়খ সুলতানের কন্যার সাথে হযরত মুজাদ্দিদ (রহ.) -এর বিবাহ সম্পন্ন হয়। উল্লেখ্য যে, হযরত রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়া সাল্লাম স্বপ্নযোগে শায়খ সুলতানকে এ বিবাহ সম্পর্কে ইশারা প্রদান করেন। শায়খ সুলতান ছিলেন সে সময় থানেশ্বরের শাসন কর্তা। দিল্লীর বাদশার পক্ষে তিনি থানেশ্বর এলাকা শাসন করতেন। একদা তিনি স্বপ্নে দেখেন, হযরত রাসূলে পাক (স.) তাঁকে বলছেন :
হে সুলতান! তুমি তোমার মেয়েকে শায়খ আহমদ সিরহিন্দীর সাথে বিয়ে দাও।
সুলতান তাঁকে চিনতেন না।, তাই এ নির্দেশ কিরূপে পালন করবেন, তা নিয়ে মহা চিন্তায় পড়েন। এসময় তিনি আবার স্বপ্ন দেখেন এবং এ সময় তাঁকে শায়খ আহমদ সিরহিন্দীর সুরতও দেখান হয়। কয়েকদিন পর শায়খ আহমদ খানেশ্বর যান এবং সুলতানের সাথে তাঁর দেখা হয়। তাঁকে দেখেই সুলতান চিনতে পারেন যে, ইনিই সেই যুবক, যার সাথে তাঁর কন্যার বিয়ে দেওয়ার নির্দেশ তিনি পেয়েছেন। কিন্তু তিনি নিজে উপযাচক হয়ে একজন অপরিচিত যুবকের কাছে নিজের কন্যার বিয়ের প্রস্তাব দিতে ইত:স্তত বোধ করছিলেন। ফলে আবার তিনি নবী করীম (স.) কে স্বপ্নে দেখেন। তিনি (স.) বলেন
এ ব্যক্তি সম্পর্কেই আমি তোমাকে বলেছি। তুমি সরাসরি তাঁর কাছে প্রস্তাব দাও।
এরপর শায়খ আহমদ সিরহিন্দী (রহ)-এর নিকট বিয়ের প্রস্তাব পেশ করা হলে, তিনি তাঁর পিতার সম্মতি নিয়ে এ বিয়েতে রাজী হন এবং যথা সময়ে শাদী মুবারক সম্পন্ন হয়। এ বিয়ের দ্বারা তাঁর আর্থিক অবস্থা স্বচ্ছল হয় এবং তিনি বসবাসের জন্য সিরহিন্দে বাড়ী এবং ইবাদাতের জন্য খানকাহ নির্মান করেন, যা এখন ও রয়েছে।
তথ্যসূত্র
- মুজাদ্দিদ-ই-আলফে সানী (রহঃ) জীবন ও কর্ম (লেখকঃ ডক্টর আ. ফ. ম. আবু বকর সিদ্দীক)