অজু করার নিয়ম
আল্লাহ তাআ’লা কোরআন মাজীদে এরশাদ করেন-
হে মুমিনগণ, যখন তোমরা নামাজের জন্য দাড়াও তখন তোমাদের চেহারাসমূহ ও তোমাদের হাত দু’খানা কনুইসহ ধুয়ে ফেল আর তোমাদের মাথা মাছেহ কর এবং তোমাদের পা দু’খানা গিরাসহ ধুয়ে ফেল ।
— ছুরা মায়িদাহ, আয়াত ৬
- অজুর দ্বারা গোনাহ মাফ হয়
রাছুলে পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি অছাল্লাম এরশাদ করেছেন -
যখন কোন মুছলিম অজু করে, যখন সে তার দু’হাত ধোয়, তার দু’হাত যে খারাপ আমল করেছে তা মিটিয়ে দেয়া হয়। যখন সে চেহারা ধোয়, তার দু’চোখ দেখার দ্বারা যে পাপ করেছে তা মিটিয়ে দেয়া হয়। যখন সে মাথা মাছেহ করে, তার দু’কান শোনার দ্বারা যে পাপ করেছে তা মিটিয়ে দেয়া হয়। এরপর যখন সে দু’পা ধোয়, তার দু’পা চলার দ্বারা যে পাপ করেছে তা মিটিয়ে দেয়া হয়। এরপর যখন সে নামাজে দাঁ ড়ায় (তার অন্য কোন গোনাহ না থাকলে) তা অতিরিক্ত ছওয়াব হিসেবে গন্য হয়।
— আততারগীব ১ম- ১৫৫ পৃঃ
- পাক পাত্রে অজুর জন্য একসের/এক লিটার পরিমাণ পানি নিন।
- ইবাদাতের জন্য মনে মনে অজুর নিয়েত করুন। (ছুন্নাত)
- নিয়েতঃ
আমি নাপাকী দূর, নামাজ পড়া ও আল্লাহর ক্সনকট্য লাভের জন্য অজু করছি। অধিকাংশ ইমাম নিয়েত মুখে উচ্চারণ করে পড়াকে বেদআত বলেছেন। উচ্চস্থানে কেবলার দিকে মুখ করে বসুন।
— ছুন্নাত
- পানির ছিটা না লাগে সেদিকে খেয়াল রাখুন। (মুস্তাহাব)
- পানির পাত্র বাম পাশে রাখুন। (মুস্তাহাব)
Contents
কবজি ধোয়া
- বাম হাতে পাত্র ধরে ডান হাতের কবজিতে পানি ঢালুন। (ছুন্নাত)
- ডান হাতের কবজি পর্যন্ত ধৌত করুন।
- ডান হাতে পাত্র ধরে বাম হাতের কবজিতে পানি ঢালুন। (ছুন্নাত)
- বাম হাতের আঙ্গুলগুলি ডান হাতের আঙ্গুলগুলির মধ্যে পিঠের দিক দিয়া ঢুকান। (ছুন্নাত)। আঙ্গুলের ফাকগুলি খেলাল করুন। (ছুন্নাত)
- এবার ডান হাতের আঙ্গুলগুলি বাম হাতের আঙ্গুলগুলির মধ্যে ঢুকান ও খেলাল করুন। হাত দু’খানা কবজি পর্যন্ত ভালভাবে তিনবার ধুয়ে ফেলুন (ছুন্নাত)
- লক্ষ্য রাখুনঃ
হাতে আংটি থাকলে আংটি সরিয়ে সেখানে অবশ্যই পানি প্রবেশ করান। পানি না ঢুকলে অজু হবে না। হাতে পায়ে ও মুখে আলকাতরা, গাঢ় রং, নখ পালিশ, মোম, চুন, মাছের আঁইশ ইত্যাদী এমন ধরনের বস্তু যার মধ্যে পানি ঢোকেনা সেগুলি লক্ষ্য করে উঠিয়ে ফেলে পানি পৌছান। পানি না পৌছালে অজু শুদ্ধ হবে না। অজু না হলে নামাজও কবুল হবে না।
- মুখ ভর্তি পানি নিয়ে কুলি করুন। (ছুন্নাত)
মেছওয়াক করা। (ছুন্নাত)
রাছুলে পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি অছাল্লাম প্রতিবার অজুর সময় মেছওয়াক করতেন। মেছওয়াকবিহীন অজুর নামাজ থেকে মেছওয়াকসহ অজুর নামাজ ৭০ গুন বেশী মর্যাদা। রাছুলে পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি অছাল্লাম মেছওয়াকের গুন বর্ণনায় বলেছেন-
তোমাদের মেছওয়াক করা উচিত। কেননা এ মেছওয়াকের মধ্যে ১০টি গুন আছে-
- ১। মুখকে পরিস্কার করে,
- ২। আল্লাহ তার প্রতি সন্তুষ্ট হন,
- ৩। শয়তান তার উপর অসন্তুষ্ট হয়,
- ৪। আল্লাহ এবং মানুষের হেফাজাতকারী ফেরেশতাগণ তাকে মুহাব্বত করে,
- ৫। দাঁতের গোড়াকে শক্ত করে,
- ৬। শ্লেষ্মা (ক্বফ) দূর করে,
- ৭। মুখকে সুগন্ধ করে,
- ৮। পিত্ত নষ্ট করে,
- ৯। চোখের নজর বৃদ্ধি করে,
- ১০। মুখের দুর্গন্ধ দূর করে।
এ মেছওয়াক করা ছুন্নাতের মধ্যে গন্য। এরপর রাছুলে পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি অছাল্লাম বললেন মেছওয়াকসহ অজু করে নামাজ পড়া বিনা মেছওয়াক সত্তর নামাজ পড়া হতে উত্তম।
— মোনাব্বাহাত- ১১৭
- মেছওয়াক সঙ্গে না থাকলে আঙ্গুল দিয়ে মেছওয়াক করুন।
- মিষ্ট জাতীয় ডাল যেমন খেজুরের ডাল দিয়ে মেছওয়াক করবেন না। বরং তিতু জাতীয় যেমন নিম, সাড়া, নিষিন্দার ডালে মেছওয়াক করবেন। জয়তুন ও পিলু ডাল মেছওয়াকের জন্য বেশী ভাল।
- আড়া আড়িভাবে মেছওয়াক করবেন। প্রথম থুথু গিলে ফেলবেন। এতে হজম শক্তি বাড়ায়। অম্ল অজীর্ন, পেটফাঁপা দূর হয়।
- সকল দাঁত ভিতরে বাইরে দাঁতের মাঝখানে ৩বার মেছওয়াক করবেন। তার বেশী নয়।
- বহু সময় ধরে মেছওয়াক করা মাকরুহ ও স্বাস্থ্যের জন্যে ক্ষতিকর।
- শুয়ে মেছওয়াক করলে প্লীহা বাড়তে পারে।
- হাত মুঠ করে মেছওয়াক করবেন না। অর্শ হতে পারে।
- ডান দিক থেকে মেছওয়াক করা শুরু করবেন।
- মেছওয়াকের নিচের দিকে নিচে ছোট আঙ্গুল ও মাথায় বুড়ো আঙ্গুল আর উপর পাশে মাঝখানে বাকী তিন আঙ্গুল রাখবেন।
- মেছওয়াক করার আগে ও পরে ধুয়ে রাখবেন তা না হলে শয় তান মুখ দেবে।
- মেছওয়াক ব্যবহারকারী প্রত্যেকে তার নিজের হাতের এক বিঘতের বেশী মেছওয়াক লম্বা করবেন না ও ৪ আঙ্গুলের কম ছোট না হ'লে ফেলে দিবেন না।
- অনেকে প্রতিদিন বা ২/৩ দিন পরপর নতুন মেছওয়াক ব্যবহার করেন আর পুরাতন মেছওয়াক পুকুরের ঘাটে অজুখানা অথবা পেশাব-পায়খানার যেখানে-সেখানে ফেলে রাখেন। এভাবে ফেলে রাখবেন না। ফেলে রাখা মাকরুহ।
দাঁত খেলাল করা
রাছুলে পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি অছাল্লাম বলেন-
তোমরা খেলাল কর, কেননা এ হলো নাজাফাত বা পরিচ্ছন্নতা। পরিচ্ছন্নতা ঈমানের দিকে আহবান করে, আর ঈমান তার সাথীকে জান্নাতে নিয়ে যাবে।
— আততারগীব ১ম ১৬৮ পৃঃ
রাছুলে পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি অছাল্লাম আমাদের কাছে এসে বললেন-
আমার উম্মতের খেলালকারীদের জন্যে সু -সংবাদ। সকলে বললো, হে আল্লাহর রাছুল! খেলালকারী কারা? তিনি বললেন- অজুর মধ্যে খেলালকারী আর খাওয়ার পরে খেলালকারী। অজুর খেলাল হলো কুলি করা, নাকের মধ্যে পানি ও আঙ্গুল দিয়ে ছাফ করা আর আঙ্গুলগুলির ফাকে খেলাল করা। আর খাদ্যের খেলাল হলো, খাওয়ার পরে দাত খেলাল করা। কেননা নামাজী নামাজ রত অবস্থায় তার দাঁতে খাদ্য লেগে আছে দেখলে ফেরেশতাদের খুবই কষ্ট হয়।
— আততারগীব - ১ম- ১৬৮ পৃঃ
মুখ ধোয়া
- দাড়ীবিহীন পুরুষ ও মেয়েদেরঃ
- দু'হাতে পানি নিয়ে কপালের উপরিভাগের চুলের গোড়া থেকে থুতনির নীচে পর্যন্ত ও এক কানের লতি হতে অন্য কানের লতি পর্যন্ত সম্পুর্ন মুখ মন্ডল একবার ধুয়ে ফেলুন।
- চুল পরিমাণ জায়গা শুকনা না থাকে সেদিকে বিশেষভাবে লক্ষ্য রাখুন। শুকনা থাকলে ফরজ আদায় হবে না। ফলে নামাজ কালাম ও কোন ইবাদাত শুদ্ধ হবে না, বরং গোনাহগার হতে হবে । কারণ মুখমন্ডল একবার ধোয়া ফরজ।
- এরপর মুখ মন্ডল পানি দিয়ে উপরের নিয়মে আরও দুবার ধুয়ে ফেলুন। (ছুন্নাত)
- লক্ষ্য রাখুনঃ
- ক) মুখের উপর পানির ছিটা জোরে মারবেন না। মারা মাকরুহ।
- খ) প্রত্যেক অঙ্গ তিনবারের বেশী ধোবেন না। ধোয়া মাকরুহ।
- গ) এক অঙ্গ ধোয়ার পর পরই অন্য অঙ্গ ধুয়ে ফেলুন। (ছুন্নাত)
- ঘ) এক অঙ্গ শুকিয়ে গেলে অন্য অঙ্গ ধোয়া মাকরুহ।
- ঙ) একের পর এক অজুর নিয়ম পালন করুন। (ছুন্নাত)
- চ) মুখ হাত ধোয়ার সময় হাতে পানি নিয়ে সে পানি ফেলে দিয়ে মাছেহ করার মত করবেন না।
- ছ) পানি অঙ্গ দিয়ে গড়িয়ে না গেলে অজু হবে না।
- দাড়িওয়ালা ব্যক্তিঃ
- যদি দাড়ির গোড়ার চামড়া দেখা যায় তবে মুখ মন্ডলসহ সকল দাড়ির গোড়ায় পানি প্রবেশ করিয়ে ভালভাবে একবার ধুয়ে ফেলুন। (ফরজ)
- যদি দাড়ি এমন ঘন থাকে যে কাছে থেকে দাড়ির গোড়ার চামড়া দেখা না যায় তা হলে কেবলমাত্র মুখমন্ডল ধুয়ে ফেলু ন। (ফরজ ১)
- এরপর দাড়িতে পানি দিয়ে দাড়ি ধুয়ে ফেলুন। কারণ ঘন দাড়িওয়ালা ব্যক্তির জন্য দাড়ি ধুয়ে ফেলাও ফরজ। (ফরজ ২)
- দাড়ি ধোয়ার পরে দাড়ি খেলাল করুন। (ছুন্নাত)
- দাড়ির নিচ দিয়ে ডান হাতের আঙ্গুলগুলির আগা দাড়ির মধ্যে ঢুকিয়ে আঙ্গুলের গোড়া পর্যন্ত নিন। আঙ্গুলগুলির পিঠ উপরে ও পেট নীচে থাকবে।
- এরপর আরও দুবার পানি দিয়ে মুখ মন্ডল দাড়িসহ ধুয়ে ফেলুন। (ছুন্নাত)
- তিন বারের বেশী ধোবেন না। ধোয়া মাকরুহ।
হাত ধোয়া
- দু’হাত কনুই পর্যন্ত পানি দিয়ে একবার ধুয়ে ফেলা ফরজ।
- ডান হাতে পানি নিয়ে ডান হাতের কনুই পর্যন্ত এমনভাবে ধুয়ে ফেলুন
- যেন পানি গড়িয়ে যায় এবং চুল পরিমাণ শুকনো না থাকে। (ফরজ ৩)
- আরও দুবার পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। (ছুন্নাত)
- এবার বাম হাতে পানি নিয়ে উপরের নিয়মে ধুয়ে ফেলুন। (ফরজ ৩)
- আরও দুবার পানি নিয়ে ধুয়ে ফেলুন। (ছুন্নাত)
- ধোয়ার সময় তেল মালিশের মত অল্প পানি নিয়ে মালিশ করবেন না। করা মাকরুহ।
মাথা মাছেহ
- মাথা চার ভাগের একভাগ মাছেহ করা ফরজ। (ফরজ ৪)
- দু’হাত কবজি পর্যন্ত পানি দিয়ে ভিজিয়ে নিন।
- দু’হাতের কনিষ্ঠা, অনামিকা ও তর্জনী আঙ্গুলগুলির আগা পরস্পর মিলিয়ে নিন।
- মাথার সামনের দিক হতে মাথার মাঝখান দিয়ে টেনে নিয়ে যান।
- এবার দু’হাতের তালু মাথার পিছন থেকে মাথার সামনে পর্যন্ত কানের গোড়া ঘেসে টেনে আনুন। (ছুন্নাত)
- মেয়েরা পিছন থেকে সামনে নেবেন না। ২বার সামনে থেকে পিছনে টেনে নিন।
- দু’হাতের শাহাদাত আঙ্গুল দিয়ে দু’কানের ভেতরের পেচগুলি ঘুরিয়ে নিন। (ছুঃ)
- দু’হাতের কনিষ্ঠা আঙ্গুলের অগ্রভাগ দু’কানের ছিদ্রের মধ্যে দিয়ে ঘুরান। (মুস্তাঃ)
- দু’হাতের বৃদ্ধ আঙ্গুলগুলির পেট দিয়ে দু’কানের বাইরের পিঠ পিছন থেকে সামনে টেনে নিন।
- দু’হাতের বৃদ্ধ আঙ্গুলের নখের অগ্রভাগ দিয়ে দুকানের লতির সামনে থেকে পিছনে নিয়ে যান।
- দুহাতের পিঠ হালকাভাবে ঘাড়ের উপর রাখুন।
- হাত টেনে গলার দিকে নিবেন না। নেয়া মাকরুহ।
পা ধোয়া
- দু’পা গোড়ালীসহ গিরা পর্যন্ত একবার ধোয়া ফরজ। (ফরজ)
- ডান পায়ের গিরার উপর পর্যন্ত একবার ধুয়ে ফেলুন। (ফরজ)
- বাম হাতের কনিষ্ঠা আঙ্গুলের অগ্রভাগ ডান পায়ের কনিষ্ঠা আঙ্গুলের ফাঁকে নিচের দিক হতে উপরে টেনে আনুন। (ছুন্নাত)
- এভাবে কনিষ্ঠা আঙ্গুল হতে বৃদ্ধা আঙ্গুলের ফাকে ফাকে কনিষ্ঠা আঙ্গুলের অগ্রভাগ নিচ হতে টেনে উপরে উঠান।
- উক্ত নিয়মে ডান পা গিরার উপর পর্যন্ত আরও দুবার ধুয়ে ফেলুন। (ছুন্নাত)
- তারপর বাম পায়ের গিরার উপর পর্যন্ত একবার ধুয়ে ফেলু ন। (ফরজ)
- বাম পায়ের বৃদ্ধা আঙ্গুল হতে কনিষ্ঠা আঙ্গুল পর্যন্ত ফাকগুলি পর্যায় ক্রমে বাম হাতের কনিষ্ঠা আঙ্গুলের অগ্রভাগ দিয়ে উক্ত নিয়মে টেনে আনুন। বাম পা গিরার উপর পর্যন্ত পানি দিয়ে আরও দু’বার ধুয়ে ফেলুন। (ছুন্নাত)
- কেবলা মুখী দাড়িয়ে পাত্রের বাকী পানি হতে এককোষ পানি নিয়ে পান করুন। (ছুন্নাত)
- এবার নিচের দোয়া পড়ুনঃ
আশহাদু আল্লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়া আশহাদু আন্না মুহাম্মাদান আব্দুহু ওয়া রাসুলুহু । আল্লাহুম্মা আজ আল্নি মিনাত্তাওয়াবিনা ওয়াজ আল্নি মিনাল মুতাতাহ্ হিরিনা ওয়াজ আল্নি মিনাল্লাযিনা লা খাওফুন আলাইহিম ওয়ালাহুম ইয়াহ্যানুন । রাদিতু বিল্লাহি রাব্বা ওয়া বিল ইসলামি দ্বীনা ওয়া বি মুহাম্মাদির্ রাসুলিল্লাহি নাবিয়্যা ওয়া রাসুলা ।
অর্থঃ আমি সাক্ষ্য দিতেছি যে, কোন মাবুদ নাই আল্লাহ ছাড়া এবং আরও সাক্ষ্য দিতেছি যে, মুহাম্মাদ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি অছাল্লাম তাঁর বান্দা এবং রাছুল। হে, আল্লাহ, তুমি আমাকে করো তওবাকারীদের দলভুক্ত এবং আমাকে করো পবিত্রতা অর্জনকারীদের দলভুক্ত আর আমাকে ঐ সমস্ত লোকের দলভুক্ত করো যাদের কোন ভয় নাই এবং যাদের কোন দুঃখ নাই আমি আল্লাহকে প্রতিপালনকারী হিসেবেপেয়ে সন্তুষ্ট এবং ইসলামকে দ্বীন অর্থাৎ চলার পথ হিসেবে এবং আল্লাহর রাছুল মুহাম্মাদ ছল্লাল্লাহু আলাইহি অছাল্লামকে আমার নবী ও রাছুল হিসেবে পেয়ে সন্তুষ্ট।
এ দোয়া পড়লে আল্লাহ তাআ’লা তার দু’অজুর মধ্যের গোনাহ মাফ করে দিবেন।
— আততারগীব ১ম ১৭২ পৃঃ
তথ্যসূত্র
- নামাজ প্রশিক্ষণ (লেখকঃ মাহবুবুর রহমান, প্রাক্তন উপাধ্যক্ষ, প্রতাপনগর আবূবকর সিদ্দিক ফাজিল মাদ্রাসা, সাতক্ষীরা)