গোছলখানা অথবা বাথরুমে গোছল
From Sunnipedia
- বিশেষভাবে লক্ষ্য রাখুনঃ
এখানে (নিচে) যেমন ধারাবাহিকভাবে নিয়ম-কানুন লেখা হয়েছে তা একের পর এক আমল করার চেষ্টা করুন। আগে পিছে করবেন না।
- বাথরুমে ঢুকুন। ভিতর থেকে দরজা বন্ধ করুন।
- যদি বাথরুম ব্যতীত অন্য জায়গায় গোছল করেন তাহলে কেহ না দেখে এমন আড়াল জায়গায় গোছল করুন ।
- পানির ছিটা শরীরে না লাগে এমন জায়গায় বসুন
- দু’হাত কবজি পর্যন্ত ধুয়ে নিন। (ছুন্নাত)
- গোছলের নিয়েত করুন। (ছুন্নাত)
- পড়ুনঃ নাওয়াইতু আন আগছালা লিরাফয়িল জানাবাত।
- অর্থাৎঃ আমি নাপাকী দূর করার জন্য গোছল করছি।
- শরীরে বা কাপড়ে নাপাক জিনিষ লেগে থাকলে বাম হাত দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। (ছুন্নাত)
- স্ত্রী বা পুরুষ অঙ্গ ধুয়ে ফেলুন। (ছুন্নাত)
- মাটি বা সাবান দিয়ে হাত ধুয়ে ফেলুন।
- পেশাব করার প্রয়োজন হলে পেশাব করুন। পেশাবের নিয়ম পরে লেখা হলো।
- খেলাল করার দরকার হলে খেলাল করুন। (ছুন্নাত)
- তারপর অজু করে নিন। (ছু ন্নাত)
- অজুর সময় একবার গড়গড়া করে কুলি করুন। (ফরজ)
- পুনরায় দুবার গড়গড়া করে কুলি করুন। (ছু ন্নাত)
- নাকের ভিতর শক্ত হাড় পর্যন্ত পানি পৌছান। (ফরজ)
- এবার নিয়ম অনুযায়ী অজু শেষ করুন। (ছুন্নাত)
- উলঙ্গ হয়ে গোছল করবেন না।
- বিছমিল্লাহ বলে ডান কাধে পানি ঢালুন। (ছুন্নাত)
- এরপর বাম কাধে পানি ঢালুন। (ছুন্নাত)
- মাথার উপরে পানি ঢালুন। (ছুন্নাত)
- শরীরের সব যায়গায় যাতে পানি পৌছে সে দিকে লক্ষ্য রাখুন। চুল, গোঁফ অথবা ভ্রু ঘন হলে চেষ্টা করে এ সবের গোড়ায় পানি পৌঁছে দিন। (ওয়াজিব)
- দাড়ীর গোড়ায় পানি পৌছান। (ফরজ) (কারণ সমস্ত শরীর পানি দিয়ে ধোয়া ফরজ)।
- মনে রাখুনঃ
- বগল ও নাভীর নীচের লোমরাজি ৪০ দিনের বেশী সময় রাখা মাকরুহ তাহরীমী। এ সময়ের আগেই সাফ করুন। (ছুন্নাত)
- মেয়েদের চুলের বেনী থাকলে তা খুলে চুলের গোড়ায় পানি পৌছান। (ওয়াজিব)
- শরীরের সকল অঙ্গ মর্দন করুন। (ছুন্নাত)
- শরীরের কোন স্থান যাতে শুকনো না থাকে সে দিকে বিশেষভাবে খেয়াল রাখুন। শুকনো থাকলে ফরজ গোছল আদায় হবে না।
- উপরের নিয়মে আরও দুবার সমস্ত শরীরে পানি পৌছান। (ছুন্নাত)
- গোছল শেষে সমপূর্ন শরীর মুছে ফেলুন। (ছুন্নাত)
- এরপর পা দুখানা ধুয়ে ফেলুন। (ছুন্নাত)
তথ্যসূত্র
- নামাজ প্রশিক্ষণ (লেখকঃ মাহবুবুর রহমান, প্রাক্তন উপাধ্যক্ষ, প্রতাপনগর আবূবকর সিদ্দিক ফাজিল মাদ্রাসা, সাতক্ষীরা)