চিকিৎসা করতে এসে রোগী হয়ে গেল
হযরত ইব্ন আব্বাস (রা) বর্ণনা করেন, ইজদ-শানওয়া কাবিলার জেমাদ নামে এক বিখ্যাত ব্যক্তি মক্কায় আসে। লোকটি পাগলামি এবং জিন-ভূতের চিকিৎসা করত। সে মক্কায় মুশরিকদের কাছে শুনতে পেল, মুহাম্মদ (সা) একজন পাগল। মনে মনে সিদ্ধান্ত নিল, সে তাঁর চিকিৎসা করবে। সে ভাবল, আমার হতে আল্লাহ্ হয়তো তাঁকে রোগমুক্ত করবেন।
জেমাদ বলেনঃ আমি মুহাম্মদ (সা)-এর কাছে হাজির হয়ে আরজ করলাম,আমি জিনেধরা পাগলকে ঝাড়-ফুঁক করি। আল্লাহ্ চায় তো ভাল হয়ে যায়। একথা শুনে তিনি পাঠ করলেনঃ
আল হামদুলিল্লাহি নাহ্মাদুহু ওয়া নাশ্তাইনুহু ওয়ানু’মিনু বিহী ওয়া নাতাওয়াক্কালু আলাইহি । ওয়া না’উজুবিল্লাহি মিন শুরুরি আন্ ফুসিনা ওয়ামিন সাইয়্যি আ’তি আ’মালিনা । মাইইয়াহ্ দিহিল্লাহু ফালা মুদিল্লালাহু ওয়া মাইইউদলিলহু ফালা হাদিয়ালাহ্ । ওয়া আশহাদু আল্লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা শারিকালাহু ওয়া আশহাদু আন্না মুহাম্মাদান আব্দুহু ওয়া রাসুলুহু
জেমাদ বললেনঃ “কালামখানা আবার পড়ুন ।”
রাসূলুল্লাহ্ (সা) পুনরায় পাঠ করলেন।
জেমাদ বলেন, আল্লাহর কসম, আমি গণকদের কথা, জাদুকরদের কথা এবং কবিদের কবিতা শুনেছি। কিন্তু এরকম কালাম কখনও শুনিনি। এ কালাম তো ভাষাশৈলীর সর্বোচ্চ সীমায় পৌঁছেছে। ইয়া রাসূলুল্লাহ্ ! হাত বাড়ান,আমি মুসলমান হবো। একথা বলে তিনি মুসলমান হয়ে গেলেন। (বায়হাকী)
তথ্যসূত্র
- রাসুলুল্লাহ (সঃ) এর জীবনে আল্লাহর কুদরত ও রুহানিয়াত (লেখকঃ মাওলানা মুহাম্মদ আব্দুল গফুর হামিদী, প্রকাশকঃ ইসলামিক ফাউন্ডেশন, বাংলাদেশ)