হালিমার কোলে দুধপানকালীন
সেকালে যুক্তিসঙ্গত বিভিন্ন কারনে মক্কার সম্ভ্রান্ত কুরায়শরা দুধপান করানো ও প্রতিপালনের জন্য নিজেদের সন্তানকে ধাত্রীর কাছে সোপর্দ করতো । এ সম্মানজনক কাজের জন্য সন্তানের দুধমাতাকে উত্তম অর্থ সম্মানী প্রদান করতো । গোটা আরবে তখন তায়েফ এলাকাটি ছিল সুজলা, সুফলা, সবুজ ও সমৃদ্ধ । এখানকার ভাষা ছিল প্রাঞ্জল এবং পরিবেশ চমৎকার । এখানকার মহিলারা বছরের একেক সময় স্বামী বা পুরুষ সাথীসহ দলবেঁধে সম্ভ্রান্ত মক্কানগরী যেত দুগ্ধপোষ্য শিশুর খোঁজে । মক্কার কোরায়শরাও তায়েফকেই বিশেষকরে নিজেদের সন্তানদের প্রতিপালন ও দুধপান করানোর জন্য যথাযোগ্য বিবেচনা করত । এ বছরটি ছিল তায়েফের জন্য কঠিন । খরার ফলে দেশে ছিল অভাব ।
এমনি অবস্থায় তায়েফ থেকে একটি বড় কাফেলা মক্কার দিকে রওয়ানা হলো শিশু সংগ্রহের জন্য । বনু সা’দ গতরের হালিমা বিনতে যুয়ায়রাব ছিলেন এক সম্ভ্রান্ত মহিলা । স্বামী হারিছসহ তিনি এ কাফেলার সাথে রওয়ানা হলেন । অজন্মার কারনে এ বছর এরা প্রায় নিঃস্ব ছিলেন । একটা হাড্ডিসার হীনবল সাদা গাধার উপর হালিমা; সাথে স্বামী ও এক হীনবল উষ্ট্রী নিয়ে রওয়ানা হলেন । অপুষ্টি ও খাদ্যাভাবে এর পালানে এক ফোঁটা দুধও ছিল না । হালিমার সাথে নিজের একটা দুধের শিশুও ছিল ।
হালিমা নিজেই বর্ননা করেনঃ
এ অবস্থায় আমরা বেরিয়ে পড়লাম । আমাদের শিশু সন্তানটি ক্ষুধার জ্বালায় এত কাঁদছিল যে আমরা সবাই বিনিদ্র রাত কাটালাম । তাঁর ক্ষুধা নিবৃত করার মত দুধ আমার স্তনে ছিল না, উষ্ট্রীর পালানে তো ছিলই না ।
পথ ছিল দীর্ঘ । একনাগাড়ে চলতে চলতে কাফেলা ক্লান্ত হয়ে পড়ল । হালিমার গাধাটি অত্যাধিক দূর্বলতার কারনে অনেক পিছনে পড়ে গেল । এ অবস্থায় কাফেলার অন্যরা মক্কায় পৌঁছল । তারা দুধের শিশু খুঁজতে শুরু করল । সকলেই এক-দুটো করে শিশু যোগার করে ফেলল । যেহেতু হালিমা বেশ পিছনে রয়ে গিয়েছিলেন, তাই দেরির কারনে তিনি আর কোন শিশু খুঁজে পেলেন না ।
মক্কায় তখন একটি মাত্র দুগ্ধপোষ্য শিশুই অবশিষ্ট ছিল । বিধবা হযরত আমিনার কোলে এতিম মুহাম্মাদুর রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম । যেহেতু শিশুটি এতিম, যথেষ্ট সম্মানী বা পারিশ্রমিকের আশা ছিল না । তাই এ শিশু গ্রহণ করতে কাফেলার কেউই আগ্রহী হয় নাই ।
হালিমা খালি হাতে ফিরে যাবেন বলেই স্থির করেছিলেন । কিন্তু এতগুলো সহযাত্রীর মাঝে তিনি কেবল শূন্যহাতে ফিরে যাবেন- ব্যাপারটা তাঁর ভাল লাগল না । স্বামীর কাছে বললেনঃ “আল্লাহর কসম ! কপালে যাই থাক, ঐ এতিম শিশুটিই আমি নিয়ে যাব ।” তারা আবার আমিনার ঘরে ফিরে গেলেন । দেখেন, বিধবা আমিনা এতম শিশুকে কোলে নিয়ে উদাস চোখে বসে আছেন । হালিমার মাতৃহৃদয় উদ্বেল উয়ে উঠল । দু’হাত বাড়িয়ে শিশুকে কোলে তুলে নিলেন । (ইবন ইসহাক ও তারিখে হাবিবে আলা)
শিশুর মুখের দিকে চেয়ে হালিমা চমকে উঠলেন । দেখলেন, জগতের সৌন্দর্য যেন তাঁর কোলে হেসে উঠেছে । শিশু মুহাম্মাদ (সঃ) কে বুকে নিয়ে জগতের সর্বশ্রেষ্ঠ ভাগ্যবতী হালিমা জগতে বিখ্যাত হয়ে গেলেন ।
এটাই ছিল আল্লাহ্র হেকমত ও অপার মহিমা । কাফেলার সবচেয়ে সহায়হীন মহিলাকে তিনি নির্বাচন করলেন তাঁর প্রিয় হাবীবর প্রতিপালনের জন্য । যে এ প্রতিপালন কেবল খোদ আল্লাহরই কুদরতে কামেলা শামিল হাল থাকে । বাস্তবে হলোও তাই ।
মক্কা নগরী থেকে হালিমা যখন বের হলেন, কাফেলা তখন অনেক দূর এগিয়ে গেছে । জনবিরল আরবের মুরুপথ । কাফেলার সং ছাড়া পথচলা বিপদজনক ।
অবাক বিস্ময়ে হালিমা লক্ষ্য করলেন, তাঁকে পিঠে নিয়ে দুর্বল গাধাটি দ্রুতগামী অশ্বের মত তীব্রবেগে দৌড়াচ্ছে । তাঁর সাথে উষ্ট্রীটিও তাই । তাঁদের বাহন দুটি এত দ্রুত ছুটল যে, যে কাফেলার নাগাল পাওয়া কিছুক্ষণ আগেও তাঁদের কাছে অসম্ভব মনে হয়েছিল, সন্ধ্যার আলো-আধঁরির গোধূলিলগ্নেই সেই কাফেলাকে তারা অতিক্রম করে যেতে লাগলেন । কাফেলার অগ্রবর্তীদের দিকে বাহন দুটি তাঁদের ধেয়ে নিয়ে যাচ্ছিল ।
গোধূলির অস্পষ্ট আভায় তাঁদের এরকম বিপুলবেগে ধেয়ে যেতে দেখে কাফেলার লোকেরা অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করতে লাগল, তোমরা কে গো ? এত দ্রুতগামী বাহন তোমাদের ? নিজের পরিচয় দিয়ে হালিমা বলেনঃ বাহন তো আমাদের সেই আগেরগুলোই । তারা অবাক হয়ে বলতে লাগলো - কিন্তু এগুলোর তো দেখছি রকম-সকমই আলাদা ।
শেষ পর্যন্ত কাফেলা এক জায়গায় রাতের মত তাঁবু ফেলল । হালিমা বলেনঃ “উপলব্ধি করলাম আমার বুক দুটো দুধে ভারী হয়ে আছে । এত দুধ যে, আমার নিজের শিশু ও শিশু মুহাম্মাদ উভয়ই পেটপূরে ধুধপান করে পরম শান্তিতে ঘুমিয়ে পড়ল ।” স্বামী হারিছ অবাক হয়ে দেখলেন কঙ্কালসার ঐ উষ্ট্রীর পালান দুধে টইটম্বুর । প্রচুর দুধ দোহন করে আনলেন । হালিমা বলেনঃ “অনেক দিন পর আমরা পেটপূরে দুধপান করলাম । পরম শান্তিতে রাতটা ঘুমিয়ে কাটিয়ে দিলাম ।”
ভোরে স্বামী আমাকে ডেকে বললেনঃ “হালিমা! তুমি জেনে রেখো, এ এক মহা বরকতময় শিশু তুমি নিয়ে এসেছ ।” জওয়াব দিলামঃ “আমিও তো তাই দেখতে পাচ্ছি ।” পরদিন কাফেলা আবার রওয়ানা হলো । আমি আমার গাধার উপর রওয়ানা হলাম । গাধা তীব্র বেগে ছুটল । সমস্ত কাফেলা পিছনে ফেলে এগিয়ে যাচ্ছে । সহযাত্রীরা বলতে লাগলঃ “হে যুবারে কন্যা! দাঁড়াও, আমাদের জন্য একটু থাম । যে গাধার পিঠে তুমি এসেছিলে এটা কি সেই গাধা ?” বললামঃ “হ্যাঁ সেই গাধাই তো ।” ওরা অবাক হয়ে বলাবলি করতে লাগল- “কিন্তু এটার তো শানই দেখছি ভিন্ন ।” (ইবনে ইসহাক)
এ ব্যাপারে শায়খ আব্দুল হক মোহাদ্দেসে দেহলভী লিখেন, মাওয়াহেবে লাদুন্নিয়া কিতাবে ইব্ন ইসহাক, ইব্ন তারুবিয়া্, আবু ইয়াল, তিব্রানী, বায়হাকী, আবু নায়ীম প্রমুখ হযরত হালিমা থেকে রেওয়ায়েত করেন যে, হযরত হালিমা বর্ননা করেনঃ যে বছর আমরা বনী সা’দ ইব্ন বকরের সাথে মক্কায় দুগ্ধপোষ্য শিশুর খোজে এলাম সেটি ছিল তীব্র খরাজনিত অভাবের বছর । আমার একটা গাধী ছিল, দূর্বলতার কারণে পা ফেলতে যার কষ্ট হতো । একটি উটনী ছিল । সেটা এত দূর্বল ছিল যে, একফোঁটা দুধও তাঁর স্তনের ছিল না । আমার সাথে নিজের একটা শিশু সন্তান এবং স্বামী ছিল । অভাবের তাড়নায় ও ক্ষুধার জালায় দিনেও আরাম ছিল না, রাতেও ঘুম হতো না ।
মক্কায় যখন আমাদের কোওমের মহিলারা পৌঁছল, তাদের সকলেই এক একটি দুগ্ধপোষ্য শিশু খুঁজে নিলো । আমিই কেবল বাকি ছিলাম । ওদিকে শিশু মুহাম্মদ (সঃ) কে কেউ তখনও নেয়নি । তিনি ছিলেন এতিম । স্বামীকে বললাম, খালি হাতে চলে যেতে মন চাইছে না । এ এতিম শিশুকেই আমি নিয়ে যাব । আমি আব্দুল্লাহর বাড়ি গেলাম । সেখানে শিশু মুহাম্মদ (সাঃ) কে দেখলাম, দুধের চেয়ে সাদা, পরিচ্ছন্ন মোটা একটা কাপড়ে মুড়ে শুয়ে আছেন, তাঁর নিচে সবুজ রেশম বিছানো রয়েছে । মেশকের সুঘ্রাণ ভেসে আসছে । ... এ সময় তিনি ঘুমিয়েছিলেন । তাকে আমি জাগাতে চাইলাম । তাঁর সৌন্দর্য দেখেই আমি গভীরভাবে আসক্ত হয়ে গেলাম । আমি তাঁর আরো কাছে গেলাম । আস্তে করে গভী মমতায় আমার একটা হাত তাঁর সিনা মোবারকে রাখলাম । দেখলাম, তাঁর চোখ মোবারক থেকে অপূর্ব এক জ্যোতি বের হয়ে আকাশের দিকে উত্থিত হলো । আমি তাঁর পবিত্র ললাট চুম্বন করলাম । এবং তাকে আমার কোলে নিলাম । তাকে নিয়ে আমি আমাদের অবস্থানে এলাম । আমার স্বামীকে দেখালাম । স্বামীও তাকে দেখতেই তাঁর প্রতি অনুরক্ত হয়ে গেলেন । আল্লাহ্র দরবারে সুক্রিয়ার সিজদা করলেন এ মহান দওলত লাভের জন্য ।
আমার স্বামী তাঁর উটনীর কাছে গেলেন । যে উটনীর স্তনের ইতিপূর্বে একফোঁটা দুধও ছিল না । দেখলেন তাঁর স্তন দুটি দুধে ভারী হয়ে আছে । তিনি মনের আনন্দে দুধ দোহন করলেন । এত দুধ হলো যে, আমরা মনপ্রান ভরে দুধপান করলাম । এতদিন ক্ষুধার জালায় আমরা ঘুমাতে পারতাম না । দীর্ঘদিন পর আজ আমরা পরম শান্তিতে নিদ্রা গেলাম । স্বামী আমাকে বললেন, হে হালিমা তুমি ধন্য । এসব বরকত এ মহাপবিত্র শিশুরই কল্যাণে, যাকে তুমি লাভ করেছ । আমার বিশ্বাস, এ সৌভাগ্য আমাদের জন্য চিরস্থায়ী হবে ।
হালিমা বলেনঃ আমরা কয়েকদিন মক্কায় অবস্থান করলাম । এরই মাঝে এক রাতে আমি দেখলাম একটি বিশাল নূর শিশু মুহাম্মাদ (সঃ) কে চারদিক থেকে বেষ্টন করে ফেলেছে । সবুজ পোশাক পরিহিত এক ব্যক্তি তাঁর মাথার কাছে দাঁড়িয়ে । আমি আমার স্বামীকে জাগিয়ে বলান, দেখ, কি ঘটনা । স্বামী বলেন, হালিমা, চুপ । এ ঘটনা কাউকে আর বলো না । যেদিন থেকে এ মহাপবিত্র সত্তা জগতে পদার্পন করেছেন, ইয়াহুদী ধর্মবেত্তাদের রাতের ঘুম আর খাওয়া-পরা হারাম হয়ে গেছে । (এ থেকে বুঝা যায় তারা তাঁকে চিনতে পেরেছিলেন)
তারপর আমার কওমের লোকের বাচ্চাদের মা-বাপের কাছ থেকে বিদায় নিল । আমরাও হযরত আমিনার কাছ থেকে বিদায় নিলাম । গাধীর উপর সওয়ার হয়ে প্রিয় মুহাম্মাদ (সঃ) কে আমার বুকে নিলাম । এটিই সেই গাধী যেটা দূর্বলতার কারনে চলতে পারত না । তাঁকে কোলে নিয়ে সওয়ার হতেই সেটা চট্ করে মাথা উপর দিকে উথাল এবং দ্রুতবেগে চলতে শুরু করল । যখন আমরা কাবা শরীফের কাছে পৌঁছলাম, তখন সেটা কাবাকে তিনবার সিজদা করল, তারপর আকাশের দিকে মাথা উঠিয়ে তাকাল, অতঃপর দ্রুতবেগে কাফেলার সকল সওয়ারীকে পিছনে ফেলে চলতে শুরু করল ।
কাফেলার লোকেরা তাজ্জব হয়ে গেল । কোন কোণ মহিলা আমাকে জিজ্ঞেস করল, হে আবূ জারিবের কন্যা ! এটাই কি সেই গাধীটিই ? বললাম, আল্লাহ্র কসব ! এটি সেটিই । এ মোবারক শিশুর কল্যাণে আল্লাহ্ একে এ রকম শক্তিশালী করে দিয়েছেন । এ কথা শুনে ওরা বললঃ আল্লাহ্র কসম ! সত্যিই এ বড় আজীব শান ।
হালিমা বর্ননা করেন, আমি শুনতে পেলাম, আমার গাধীটি তখন বলছে, “আল্লাহ্র কসম ! আমার সত্যিই বড় আজীব শান । আমি ছিলাম প্রায় মৃত । এ শিশুর বরতক আমাকে প্রাণময় করে তুলেছে । আমি ছিলাম দূর্বল । এ শিশুর কল্যাণে আমি এখন শক্তিমান । হে বনী সা’দের মহিলারা ! আশ্চর্য তোমাদের চেতনাহীনতা ! তোমরা কি বুঝতে পার না আমার পিঠে কে ? শোন হে মেয়েরা ! আমার পিঠের উপর আছেন সায়্যিদুল মুরসালিন, সমস্ত রাসূলগনের সরদার । সমগ্র সৃষ্টি জগতের পূর্বাপর সকলের শ্রেষ্ঠতম মহান সত্ত্বা, রাব্বুল আলামীনের একমাত্র হাবীব ।”
হালিমা বর্ননা করেন, পথে ডাইনে-বাঁয়ে থেকে বরাবর আমার কানে আওয়াজ আসতে লাগল, “হে হালিমা ! তুমি আজ সকলে ধনে ধনী হয়ে গেলে, বনী সা’দের রমণীগণের মাঝে তুমি সর্বশ্রেষ্ঠ ভাগ্যবতী ।” যখন আমি বকরীর পালের নিকট দিয়ে যাচ্ছিলাম, দেখলাম বকরীগুলো আমার সামনে এসে বলতে লাগল, “হে হালিমা ! তুমি কি জান যাকে তুমি দুধপান করাচ্ছ তিনি আসমান-জমিনের প্রতিপালকের মাহ্বুব এবং সমগ্র মানবজাতির গৌরব ?”... হযরত হালিমা বর্ননা করেন, “যখন তিনি কথা বলতে শুরু করলেন, তখন প্রথমে যে কথা তিনি বললেন তা ছিলঃ
আল্লাহু আকবার আল্লাহু আকবার
আলহামদুইল্লাহি রাব্বিল আ’লামিন
সুবহানাল্লাহি বুকরাতাঁও ওয়াসিলা
এবং মধ্যরাতে আমি তাঁকে পড়তে শুনলাম
লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ক্বাদ নামাতিল উয়ুন
ওয়া রাহমানু লা তা’খুজুহু সিনাতুঁউ ওয়ালা নাউম
হযরত হালিমা বর্ননা করেন, আমি যখন তাঁর পবিত্র মুখ ধোয়াতে ইচ্ছা করতাম বা তাঁর পবিত্র মুখ থেকে লেগেথাকা দুধ পরিষ্কার করতে চাইতাম তখন দেখতাম গায়েব থেকেই তা করে দেয়া হয়ে গেছে । যদি কখনও তাঁর লজ্জাস্থান থেকে কাপড় সরে যেত, তিনি অস্থির হয়ে ক্রন্দন শুরু করতেন । যদি উঠে গিয়ে তা ঢেকে দিতে আমার মুহুর্তও বিলম্ব হতো, দেখতাম অদৃশ্য কেউ তা তাড়াতাড়ি ঢেকে দিয়েছে ।... এর পর হালিমা শিশু মুহাম্মদ (সাঃ) এর উপর ফেরেশতাদের পাহারা ও মেঘের ছায়াদান সম্পর্কীয় দীর্ঘ বর্ননা দান করেন । (মাদারেজুন্নবুওয়ত)
তথ্যসূত্র
- রাসুলুল্লাহ (সঃ) এর জীবনে আল্লাহর কুদরত ও রুহানিয়াত (লেখকঃ মাওলানা মুহাম্মদ আব্দুল গফুর হামিদী, প্রকাশকঃ ইসলামিক ফাউন্ডেশন, বাংলাদেশ)